তানোরে ০৬ শতাংশ জায়গা কিনে এক বিঘা দখল করে মার্কেট নির্মাণ
তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার কালীগঞ্জ হাটের ০৬ শতাংশ জায়গা কিনে প্রায় এক বিঘা জায়গা দখল করে বাড়ি ও মার্কেট নির্মাণ করেছেন সিদ্দিক মুহুরী ও তার ছেলে আলআমিন মুহুরী বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার সেই বাড়ি মার্কেট নির্মাণের প্লান পৌরসভা থেকে পাশ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এতে করে তহসীল ও ভূমি অফিসের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন হাটের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা যায়, পৌর এলাকার কালীগঞ্জ হাটের মাঝ খানে দ্বিতলা পাকা বাড়ি নির্মান করেছেন সরনজাই কাচারিপাড়া গ্রামের মুহুরী দীর্ঘ দিনের কালীগঞ্জ হাটের তেল ব্যবসায়ী সিদ্দিক হোসেন ও তার ছেলে মুহুরী আল আমিন। তারা তহসীল অফিস ও পৌরসভাকে ম্যানেজ করে প্রথমে বাড়ি নির্মান। পরে ধীরে ধীরে বাড়ির চারপাশে মার্কেট নির্মাণ করেছেন। বাড়ির উত্তরে মুল গেট, ৭ টির মত, দক্ষিণ দিকে ১০ টির মত, পশ্চিম দিকে ৬ টির মত এবং পূর্ব দিকে ৬ টির মত, সব মিলে ৩০ টির মত পাকা দোকান ঘর তৈরি করেছেন।
বেশকিছু ব্যবসায়ীরা জানান, বিগত তিন বছর আগে তৎকালীন সহকারী কমিশনার ভূমি স্বীকৃতি প্রামানিক ও সার্ভেয়ার পুলক কুমার এসব করতে সহযোগীতা করেছিলেন। অথচ ওই জায়গায় বিগত প্রয়াত এমরান মোল্লা ও প্রয়াত ফিরোজ সরকার এবং মিজান মেয়রের সময় কোন বাড়ি বা মার্কেট নির্মাণ করতে পারেনি। কিন্তু রহস্য জনক কারনে মেয়র ইমরুলের সময় ও ভূমি এবং তহসীল অফিসের নায়েব লুৎফর রহমানের একান্ত প্রচেষ্টায় সিদ্দিক কোটি টাকার জায়গা দখল করে এসব করেছেন। বাড়ি নির্মানের শুরুতে হাটের ব্যবসায়ীরা বাঁধা ও লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন কাজ হয়নি। এখন আর কালিগঞ্জ হাট না, সিদ্দিক হাটে রুপান্তর হয়ে পড়েছে।
হাটের ইজারাদার রনি বলেন, এসব বিষয়ে ভূমি অফিস ভালো বলতে পারবে।
বাড়ি ও মার্কেট মালিক, সিদ্দিক মুহুরী বলেন, আমি জায়গা কিনার পর ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার একাধিকবার মাপজোক করার পর পৌরসভা থেকে প্লান পাশ করে সবকিছু করা হয়েছে।
তার ছেলে আলআমিন মুহুরী বলেন, যত খুশি খবর করেন কোন লাভ হবেনা বলে দাম্ভিকতা দেখান।
তহসীল অফিসের নায়েব লুৎফর রহমান বলেন, সিদ্দিক প্রকৃত ভাবে জমির মালিকের কাছ থেকে ৬ শতাংশ জায়গা কিনেছেন। কিন্তু সে যেভাবে মার্কেট নির্মাণ করেছেন সেটা সঠিক হয়নি। আমি অসুস্থ। কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার আমানত আলী বলেন, বিষয়টি স্যারকে অবহিত করা হবে এবং স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করা হবে।
পৌর মেয়র ইমরুল হক বলেন, আমার জানা মতে যতটুকু জায়গা তার উপর প্লান দিতে পারে। তবে খোজ খবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সহকারী কমিশনার ভূমি আবিদা সিফাতের সরকারি মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিল্লাল হোসেন বলেন, জায়গা যদি ১ নম্বর খাস হয় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যদি পৌরসভার কিংবা ব্যক্তিমালিকানা হয় তাহলে পৌরসভাকে ব্যবস্থা নিতে হবে।তারপরও বিষযটি খতিয়ে দেখা হবে।
সারোয়ার হোসেন